কাউয়ারচর
কাউয়ারচর
কাউয়ারচর নামটা যেমন, সেখানে যাওয়ার পথটাও ছিল তেমনই স্মরণীয়। ভোর চারটা বাজে, ঠিক তখনই আগেই ঠিক করে রাখা ভ্যানওয়ালা চাচার ফোনে ঘুম ভাঙ্গল, তারপর উঠেই রওনা। কুয়াশায় ঢাকা সাগরকন্যা কুয়াকাটার প্রায় ১৫কিলোমিটার ভাঙ্গা রাস্তা পারি দিয়েছিলাম আমরা। পুরো রাস্তাই ফাকা আর কোনো যানবাহন, মানুষ জন কেউ নেই। কনকনে শীতে সেই পথ ধরে যেতেই লাগলো আমাদের ভ্যান। হালকা আলো ফুটতে শুরু করল তখন আমরা নামলাম কিন্তু এত বেশী কুয়াশা ছিল যে সূর্যোদয় হতে হতে খানিকটা উপড়েই চলে আসে সূর্য। বাংলাদেশের মোটামুটি অনেক গুলো সৈকত পয়েন্ট যাওয়া হয়েছে কিন্তু পর্যটক শূন্য এই সৈকতে ভোরে গিয়ে মনে হয়েছে আমাদের নিজস্ব সৈকত। তবে আবাক করার মত ব্যাপার হচ্ছে এই ঠাণ্ডা আবহাওয়া সেখানকার কিছু মানুষের কাছে কিছুই না, আর সমুদ্রের পানি তাদের কাছে গরম পানি। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বড়রা সবাই আটকা পরেছে কাজের জালে। তাদের কাছে এটা প্রতিদিনের কাজ হলেও কিছু সময়ের জন্য এই দৃশ্য আমাদের কাছে এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে। তারপর সেখানে অনেক সময় কাটিয়ে আবার যাওয়ার পথে রাতের সেই কুয়াশায় ঢাকা পথ দিনের আলোয় হয়ে উঠে এক অপরূপ সুন্দর।
Comments are closed.