fbpx

সীমান্তের পথে – পঞ্চগড়

সীমান্তের পথে – পঞ্চগড়

ব্যস্ততার ফলে আপডেট দেয়াই হচ্ছিলো না। রংপুরের বাহিরে নতুন কোন জায়গায় গেলেই প্ল্যান করি যে একদিন আলাদা ভাবে ঘোরার সময় নিয়ে যাবো। কিন্তু সেটা আর কখনো সম্ভব হয় না। ঠিক এবারো প্রথম পঞ্চগড় যাওয়ার আগে প্ল্যান করি একদিন ঘুরে আসবো। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে এবারো প্ল্যান পরিবর্তন করতে হয়। তাই বলে কি ঘুরবো না । তখন প্ল্যান করি ইভেন্ট যেহেতু দুপুরে,তাই ভোরে উঠে তেতুলিয়া হয়ে একদম সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে আসা। কিন্তু রাত ৪টায় ঘুমানোর ফলে কেউই আর সকাল ৮টার আগে উঠতে পাইনি। কি আর করা হিসাব করে দেখা গেলো হাতে সময় ৩ ঘণ্টার, যেতে আসতে লাগবে ২ ঘণ্টা। তাহলে সময় পেলাম ১ ঘণ্টা। তেতুলিয়া নেমে পেলাম আমাদের মত এক পিচ্চি ভ্যানওলার। উঠেই বলা হল ঘুরিয়ে ঠিক ১ ঘণ্টা পর আবার এই জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। আমার সবথেকে পচ্ছন্দের জার্নি হল ভ্যান জার্নি। সুন্দর সব গাছ দিয়ে ঘেরা রাস্তার মাঝ দিয়ে সে নিয়ে গেলো একদম সীমান্তে, যেখান থেকে শিলিগুড়ি ব্রিজ দেখা যাচ্ছে। একদম ফাঁকা শুধু একজন মধ্য বয়স্ক চাচা দাড়িয়ে ছিল, আর দেখা যাচ্ছে চর জেগে উঠা নদী থেকে মাছ ধরার মত করে অনেকে পাথর তুলছে । তো সেই মধ্য বয়স্ক চাচাকে বললাম “এরা কি ভারতের” বলল না বাংলাদেশি। তখন পিচ্চি ভ্যানচালক কে জিজ্ঞেস করলাম সীমান্ত পার হয়ে এরা পাথর নিয়ে আসছে বিএসএফ সমস্যা করেনা, বলল না তবে ঈদে এই দিক দিয়ে গরু নিয়ে আসতে ছিল তখন গুলি করেছিল। ব্যাস,আমার মাথায় ঢুকল এরা যদি পাথর আনতে পারে, আমি ছবিও তুলে আনতে পারবো। পাথর তোলার এত কষ্টের এত সুন্দর দৃশ্যের ছবি না নিতে পারলে তো আমার মনে কষ্ট থেকেই যাবে। শেষ সীমান্ত থেকে বাঁধ থেকে ৫-৭ ফুট নিচে নেমে এক হাটু পানি পার হতে হবে। কিন্তু সেই মধ্য বয়স্ক চাচা বাধা দিলো, যে পাথর তোলা আর ছবি তোলা এক না। তখন সঙ্গে থাকে ইনোসেন্ট রাফা ভাই আর ইয়ো ইয়ো ব্রাদার রায়হান নিশান ভয় পেয়ে গেলো তারা নামবে না, হোক কি আর করা দুই জনেই তো অবিবাহিত জীবনের মায়া আছে :D। আমার পাগলামো কে যে সব সময় সাহস যোগায় সেই সঙ্গের সাথি পাগল মনিন এই প্রথম বাহিরের ইভেন্টে নেই। কি আর করা যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। নিশান কে মোবাইল দিয়ে নেমে পরলাম পানিতে। পানিতে পা দিয়েই এক অন্য রকম অনুভূতি, এই খরা রোদে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেলো। পানি পার হয়ে ছবি তুলতে তুলতে গেলাম অনেক দূরে। অবশেষে ছবি তুলে বিএসএফ-এর গুলি না খেয়েই হতাশ হয়ে আবার ফিরে আসলাম 😀 😀 সেখানেই এক ঘণ্টা শেষ 🙁 কি আর করা ৩০মিনিট সময় বাড়িয়ে নিয়ে এবার চা বাগান হয়ে ফিরে আসা। লোকেশন গুলো অনেক ভালো লেগেছে সুযোগ হলে আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে। অনেক সংক্ষিপ্তে অনেক বড় লিখে ফেললাম 😀
Prev অংপুরের নালবাগ
Next বৃষ্টি ভেজা সবুজ এর মাঝে

Comments are closed.